ফুলবাড়ীতে উঠতে শুরু করেছে বোরো ধান। শুরুতেই ধানের বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যবসায়ীরা।
আপডেট সময় :
২০২৫-০৫-১৫ ১৬:৪২:০৫
ফুলবাড়ীতে উঠতে শুরু করেছে বোরো ধান। শুরুতেই ধানের বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যবসায়ীরা।
ফুলবাড়ীতে উঠতে শুরু করেছে বোরো ধান। শুরুতেই ধানের বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যবসায়ীরা।
মোঃ হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর হাট গুলোতে উঠতে শুরু করেছে বোরো ধান। সপ্তাহের ব্যবধানে মন প্রতি ২০০ টাকা দাম কমে ১১০০ টাকায় ধান কিনছেন ব্যবসায়ীরা। চাষিদের অভিযোগ মৌসুমের শুরুতেই ধানের বাজার নিয়ন্ত্রন করছেন ব্যবসায়ীরা তাই উৎপাদনের কথা বিবেচনা করে ন্যয্যদাম নিশ্চিতের দাবি কৃষকদের।
এবার উপজেলায় তেমন বৈরি আবহাওয়া না থাকায় চলতি বছর বোরো ধানের ফলন বেশ ভালোই হয়েছে। কৃষক অভিযোগ প্রচন্ড রোদে শরিরের ঘাম ঝরিয়ে ফসল ফালেও লাভের বেশিরভাগ অংশ যায় মধ্যস্বত্বভোগী ও ব্যবসায়ীদের ঘরে। তাই উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে ন্যায্য দাম নিশ্চিতের দাবি কৃষকের। উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছে নতুন ধান। তবে দাম কিছুটা কম।
উপজেলার বড় ধানের হাট আটপুকুর, মাদিলা, আমডুঙ্গী ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মন মোটা ধান ১০২৫ টাকা এবং চিকন ধান বিক্রয় হচ্ছে ১১০০ টাকায় দরে। নতুন ধান বাজারে আসায় কমেছে পুরোন ধানের দাম। চলতি বোরো মৌসুমে জেলা জুড়ে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার ৬৪৭ মেট্রিকটন ধান এবং ৪৯ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করবে খ্যাদ বিভাগ। এরই মধ্যে গেলো ২৪ এপ্রিল সরকারী ভাবে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হলেও এখনো শুরু হয়নি ধান কেনা। এতে সংগ্রহের লক্ষ পুরন হওয়া নিয়ে সংঙ্কা থাকলেও উপজেলা ধাদ্য বিভাগ বলছে পুরোদমে ধান কাটা চলছে। ধানা কাটা শেষ হলে আমরা আশা করছি শতভাগ লক্ষ অর্জনে সফল হবো।
এদিকে ফুলবাড়ী উপজেলার আটপুকুরের কৃষক ফয়জার রহমান, আব্দুল আলিম, মাদিলা হাটের সাইফুল ইসলাম জানান, কৃষকের যে পরিমানে খরচ করে ধান উৎপাদন করেছে। সেই দাম উঠায় মসকিল হয়ে দাড়িয়েছে। এখন তো কেবল ৫০ ভাগ ধান কাটা পড়েছে। পুরো ধান কাটা পড়লে ধানের দাম আরো কমে যাবে। এতে কৃষক আরো বেশি ক্ষতিতে পড়বে।
ফুলবাড়ী সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহবায়ক হামিদুল হক বলেন, সরকার যদি প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রাম পর্র্যায়ে ধান প্রসেসিং জোন তৈরী করতো তাহলে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধান কিছুদিন নিজের নিয়ন্ত্রনের রাখতে পারতো। এতে ন্যয্য দাম পেতে। একটু বৃষ্টি আসলেই কৃষকের কাটা ধান নিয়ে বিপাকে পড়ে। ফলে কম দামে ধান বেচে দিতে বাধ্য হয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধান ব্যবসায়ীরা ধানের দাম কমে দেয়। এটা একটা সিন্ডিকেটে রুপ ন্যায়। সরকার কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সময় উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন করুন এটা আমরা চাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহানুর রহমান বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই বোরো মৌসুমে ফুলবাড়ী উপজেলায় ১৪১৮৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সম্ভব্য উৎপাদন ধানের পরিমান ৯৫৭৫৬ মেট্রিক টন। আমরা আশা করছি শতভাগ ধান কাটা হলে আমরা আমাদের লক্ষমাত্রা অর্জন করবো।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স